Friday, April 15, 2011

পয়লা বৈশাখ

পয়লা বৈশাখ
আজকে কি ক্ষুদ্রঋণঅলারা সবচেয়ে বড় হালখাতা উৎসব করছে? ওরা আমাদের চিরন্তন ঋণ/দাদন সংস্কৃতিকে 'ঐতিহ্য' হিসাবে বিজ্ঞাপিত করতে চায়?
যা মনে হয়, পয়লা বৈশাখ ব্যাপারটা আতংকের, যারা সারা বছর ঋণ করে সংসার চালায়, তাদের ধরা খাওয়ার দিন। যতই মিষ্টিমুখ করাক না কেন, তা একজন খাতকের কাছে পাট-তিতা পাচনের মতই লাগে। আর মুঘল আমলে কর আদায়ের জন্য যেসব সাব মোঘল ছিল, তারা সব কশাই... ১লা বৈশাখে কি আর ভাল ব্যবহার করতো?

আজকের ঋণ সভ্যতার ভিতর মউজ কর্তে কর্তে নিজের যেসব জিনিস কে রঙ রস দিয়া তৈরী করতেছি, দেখতে হবে তাতে কি আমাদের আসল দু:খ বেদনা চাপা পইড়া যাইতেছে কিনা...

আমরা কি শুভ হালখাতা অতিক্রম কর্তে পারবো?

Saturday, December 18, 2010

পাহাড়ি ব্যবহারগুচ্ছ

মোঘর সিরিজ 

কখন জলপাই ঝরবে

কখন জলপাই ঝরবে গাছ থেকে টুপ করে?
ছেলেরা ঘুরঘুর কর্ছে দলবেধে
মোনঘরের টেম্পাংশালা’র সামনে

জলপাই গাছটা ছোট কিন্তু
কাছেই বিশাল একটা ইউক্যালিপটাস
ফল গাছকে আড়াল করে রেখেছে
বালক শ্রমণকে জিজ্ঞাসিলাম: তুমি কী খেল?
সে বলে: ‌আমাদের খেলার নিয়ম নাই

স্থানীয় এমপি ভাল ঝগড়া করতে পারে
তাই সে ঝগড়া বিলে একটা ব্রীজ উদ্বোধন করেছে

কল্পনা হল ভবিষ্যতের দেখা
মোনঘর হল বর্তমানের ডাকঘর
বালক বালিকাদের মনের মধ্যে চিঠি বিলি করা তার কাজ

জংগলের মধ্যে একটা খেদা
তারমধ্যে ঘোৎঘোৎ করে ভয় পাচ্ছে আমাকে দেখে
দুজন শাদা কালো গাভীন শুয়োর
মানুষের চেয়ে আরো মানুষি ভয়ার্ত করুন কবি চোখে

কালোজনের নাম মুস্তফা আনোয়ার, শাদাজন আবিদ আজাদ

পরলোকের পাহাড়ি শালের বনে
ওঁরা দুজন আমার কন্ঠস্বরকে এত ভয় পাচ্ছে কেন??
আমি কফিল আর চয়ন কে সাথে নিয়ে ক্রমাগত
চাটগাইয়া টোনে বলছিলাম:
‌‌’‌কেমন আছেন যে?, ‌কেমন আছেন যে!’


তোমার চঞ্চুতে আমি

তোমার চঞ্চুতে আমি পাহাড়ি ছড়ার পথে এলেমেলো সাধ
তোমার গালে আমি জলপাই শিকারী
কুমারী গংগা পুজার নৈবেদ্য

এখানে নিজেকে নগ্ন করা যায়,
জনসংখ্যার চাপে
বাংলাদেশের জন্য যা অব্যবহারিক!

সরলতা মানে শুদ্ধতা
শত্রু কিন্তু সর্বদা খারাপ লোক নয়।

কবিতা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
কবিতা পড়লাম বন্দরে, পাহাড়ে।
তারপর গড়াগড়ি খেতে খেতে
বালি বিছানো ঝিরি ধরে পৌছে গেলাম

দেখা পেলাম পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন এক স্পা,
যে একেবারে স্বচ্ছ, স্পষ্ট!


খাতুরি কলা খান, ভান্তে

খাতুরি কলা খান, ভান্তে, পাকা রাস্তার ধারে
ডান গালে হাসেন
সকাল বারটার পরে আর খানা নাই
কাঁচা মরিচ হারাবে পাহাড়ে

কচি মুখগুলি জলপাই পাতায়
বইখাতা সম্মোহনে
আদাঝুম রোদে
বারুদের প্রয়োজন অস্পষ্ট হয়ে আসে

শিশুরা পাহাড়ে কি সাবলীল কল্পনা
মুখের পরিচয়ের কথা মনে পড়ে না
রান্নাঘরে রাইসরিষা শাকের মহিমা বাড়ে
কার জমি, কে চাষ করে

সবচে মর্মান্তিক হল নিজের দেশের মধ্যে অভিবাসন
যেমন ধর্মচ্যুত হলে মর্মে সুখ নাই
দেহ ঝুঁকি নেয়, প্রাণ তো মানে না

ভবিষ্যতের চিত্র পাচ্ছি আজকের পাহাড়ি সংকেতে

Wednesday, July 7, 2010

কুদরত ই মাওলা: কা.শা. কবিতার ফৃ অনুবাদ

Hullabaloo or Tacit

Original Poems by: Kajal Shaahnewaz
Translated by: Qudrat-e-Moula
অনুবাদ: কুদরত ই মাওলা

কাজল শাহনেওয়াজের কবিতার ফৃ অনুবাদ : চয়ন খায়রুল হাবিব‌

Hullabaloo or Tacit
Original Poems by: Kajal Shaahnewaz
Translated by: Choyon Khairul Habib



কাজল শাহনেওয়াজের কবিতার ফৃ অনুবাদ : চয়ন খায়রুল হাবিব

Friday, April 23, 2010

প্রকাশিত গল্প: নমরুদের তীর

‘আলী, চা!’
 
      ম.আলী চা আনে, দীর্ঘ শরীর টলটলে, চা’র কাপ ম্যাজিকের মতো নিয়ে আসে। মধ্যরাতের প্রাচীন ঘন্টা বাজে ইলেক্ট্রনিক্সে। ‘দাও, চা, সিগারেট।’ ঘন্টাধ্বনি টুং টাং, এই পর্যন্তই, কুহক বাজে না। কুহক বাজে না। কোথাও কুহক নেই বলে; তাও নয়, কুহক দরকার নেই। দরকার সময়। চাকার নিচে পিসে যাওয়া চামড়ার বল, ল্যাপটানো টিন রঙের সময়। চিৎ ও অনড়।

Monday, January 11, 2010

গোফ আছে তাই গোফ রেখেছি

গোফ আছে তাই গোফ রেখেছি

গোফ আছে তাই গোফ রেখেছি
ওটার দিকে এমন কাতুর কুতুর তাকাচ্ছো কেন?
বৃষ্টি আসলে আমি ঠিকই ছাতি খুলতে পারি।

Sunday, January 10, 2010

গল্প: আমার বন্ধু এনাম

একটু আগেই আমার বন্ধু ফ্লা.লে. (অব.) এনামকে নিঝুম কবরে কবরস্ত করে এলাম।
ঢাকা শহরের ব্যস্ত বুকে যে এমন একটা নিশ্চুপ নিরিবিলি শেষ শয্যার ব্যবস্থা আছে,
ধারণাই ছিল না। আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ধন্য, ধন্য তাদের যারা আগে
থেকেই এমন একটা জায়গা পরিকল্পনা করে রেখেছিল।

Friday, January 16, 2009

মুস্তফা আনোয়ার ও আবিদ আজাদ - দুটি কবিতা

মুস্তফা আনোয়ার, তোমাকে পাব কোথায়, কোন প্রটোকলে?

এইতো সেদিন মাটিতে শোয়ালাম
এখন কিভাবে মেঘে মেঘে তুমি হাসো

Thursday, November 27, 2008

৬ টা কবিতা

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তে রচিত ৬টা কবিতা

Friday, November 7, 2008

গল্প: রোরো চশমা

কাজল শাহনেওয়াজ এর গল্প
রোরো চশমা

শেষ পর্যন্ত চোখের ডাক্তারের কাছে গেলাম। উনি জিজ্ঞাসা করলেন: কি সমস্যা? বললাম: আগের মতো দেখতে চাই না। লোকটা যন্ত্রপাতি লাগাতে লাগাতে বললেন: আগে কি দেখতেন বলেন তো। আমি বলি: আগের দিনগুলি দেখতে চাই না, পুরান দিন দেখলে জ্বর জ্বর লাগে, রাতে ঠিক মতো হজম হয় না। সে বলে: দুরের জিনিস ঠিক দেখেন? বয়স কতো হৈল? মাথায় চোট পাইছেন কোনদিন?

Sunday, September 21, 2008

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' । অংশ শেষ

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' লিটল ম্যাগাজিন। (৫ম অংশের পর...)


আচ্ছা, আপনার গল্প পড়ে কখনও কখনও আমার মনে হয় যে, মাহমুদুল হকের ভাষা, উপমা, শব্দের দ্যুতিময়তা আপনাকে খুবই আকর্ষণ করে। তাঁর ভিতরে যে বিষয়গুলি একটু সহজভাবে বলে দেয়া, একটু হেয়ালিপনা, অপ্রচলিত উপমা ব্যবহার - এসব কিন্তু আপনার লেখায় পাই।

শুধু মাহমুদুল হক নয়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান আজিজুল হক বা অন্য লেখকদের লেখাও আমি ভালোভাবে পাঠ করেছি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ বলেন, দীপেন্দ্রনাথ বলেন, বুদ্ধদেব বসু, সতীনাথ ভাদুড়ি, কমল কুমার... তারাশংকর, শরৎচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ এঁদের যে কথা বলার ভঙ্গি তা আমার ভীষন পছন্দের। আমার কথকতায় এঁদের প্রভাব থাকবে না তো কার থাকবে? এটা আমি ভাবতেও পারি না যে তা কিভাবে হয়। তা হয়ত গদ্যের নিজস্ব পদ্ধতির কারণে হতে পারে। আমি কিন্তু অনেক লেখকের মতো নিষ্ঠুর বা মোলায়েম দুইধরনের গল্পই লিখতে চাই। পৃথিবীর অনেক লেখকের ভিতরই এই জেনেরিক কোয়ালিটির মিল আছে ।

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' অংশ৫

স্বাক্ষাৎকার - 'কথা' লিটল ম্যাগাজিন। (৪র্থ অংশের পর...)
আপনার 'কাছিমগালা' খুবই দরকারি এক গল্প মনে হয়। এর পটভূমি সম্পর্কে বলুন।

এখানে কিন্তু দুইটা জিনিস ছিল, আমরা যখন এগ্রিভার্সিটিতে পড়তাম, তখন ক্যাম্পাসটা আমাদের কাছে পুরা একটা সাম্রাজ্যের মত ছিল। আমরা যারা যা যা করার দরকার না তাই করতাম।

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' অংশ৪

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' লিটল ম্যাগাজিন। (৩য় অংশের পর...)


কমিউনিকেট করার সমস্যাটা এখনকার ছেলেমেয়েদের কিন্তু কম। এখন ওরা যে কোনো সমস্যাকে ট্যাকল করতে শেখে। এখন দেখবেন, অবসাদ, নিঃসঙ্গতা এইসব শব্দ বাজারে কম চালু।

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' অংশ৩

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' লিটল ম্যাগাজিন। (২য় অংশের পর...)

ওই ছোটকাগজটার কি নাম নাম ছিল?
মনুমেন্ট।


স্বাক্ষাতকার - 'কথা' অংশ২

স্বাক্ষাৎকার - 'কথা' লিটল ম্যাগাজিন। (১ম অংশের পর...)

হ্যাঁ, তা হা নয় মানলাম, কিন্তু কথা হচ্ছে তখন প্রগতিশীল রাজনীতির ধারার কিন্তু বিকাশ ঘটল। আমরা তাদের ডেডিকেশনটাও দেখলাম। কিন্তু আপনার এধরনের লেখা বিশেষত রোকনের মৃত্যু বা বাবা নুরদীন-এ কিন্তু এর কিছুই দেখিনি।

স্বাক্ষাতকার - 'কথা' লিটল ম্যাগাজিন অংশ১




প্রকাশিত হয়েছে: কথা, ৫ম সংখ্যা, চৈত্র ১৪১৪/এপ্রিল ২০০৮
সম্পাদক: কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, রেলওয়ে হাসপাতাল (অন্তর্বিভাগ), সিআরবি, চট্টগ্রাম-৪০০০
ই-মেইল: editorkatha@yahoo.com
কাজল শাহনেওয়াজের সাথে কথাবিনিময়

Saturday, September 13, 2008

আমার বর্ষাকাল - কবিতাগুচ্ছ৪

আগের ধারাবাহিক...

ঢাকা শহরে

ঢাকা শহরে কোন মাঠ নাই।
ঢাকার ছাদগুলি হচ্ছে মাঠ।
সরু সরু রাস্তাগুলি অন্ধকারে ডুবে আছে।
তুমি তোমাদের ছাদের ছোট মাঠটাতে দাঁড়িয়ে
তাকিয়ে আছো শ্রাবন মাসের পূর্নিমার চন্দ্রোদয় দেখবে বলে।

আমার বর্ষাকাল - কবিতাগুচ্ছ৩

আগের গুচ্ছের ধারাবাহিক...
আমাকে তছনছ করে

আমাকে তছনছ করে দিলে, আমাকে থমকে দিলে আজ
মাত্র দশ মিনিটের দর্শন আমার সারাটা দিনকে পথে বসিয়ে দিল
উত্তর থেকে দক্ষিণে বাসে চরলাম,
পূর্ব থেকে পশ্চিমে রিকসায় চরলাম, হাওয়ার উড়িয়ে দিলাম হাতপাখা
মনে হচ্ছে আমার দেহের ভিতরে এই গ্রীষ্মের তপ্ত হাওয়া ঢুকে পড়েছে।
দোকানের ছোট ছোট জেনারেটরগুলি আমার ভিতরে চলতে শুরু করেছে
ঢাকা থেকে আমি চলে গেছি সিচুয়ানের ভূমিকম্পে
ছোট ছোট শহরগুলি দেবে যাচ্ছে

আমার গ্রীষ্মকাল - কবিতাগুচ্ছ২


আগের গুচ্ছের ধারাবাহিক...
প্রথম আলিঙ্গন


রাত এলে ভাবি কখন হবে দিন
তোমার সাথে দেখা হলেও তো হতে পারে
যেখানে জীবন ছোট করেছে লোডশেডিং
তোমার ডাকেই সে শুধু প্রাণ পাবে

আমার বর্ষাকাল - কবিতাগুচ্ছ৫



ধারাবাহিকের পর...


 
শ্রাবন চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে

শ্রাবন চলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
খোড়াখুড়ি করা রাস্তায়। হাটুপানি, গর্ত আর ছিটকানো কাদার ভয়ে
আমি তোমার আসার পথের দিকে